আরও দেখুন
এদিকে, যখন মার্কেটে ব্যাপকভাবে মার্কিন ডলার বিক্রির প্রবণতা বিরাজ করছে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের বর্তমান প্রধান কেভিন হ্যাসেট — যিনি ভবিষ্যতে ফেডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হতে পারেন — জানিয়েছেন যে, যদি তাকে এই পদে নিযুক্ত করা হয়, তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে বিবেচনায় নেবেন, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বাধীনভাবেই সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
এক সাক্ষাৎকারে হ্যাসেট বলেন, "কী করা উচিত সেই বিষয়ে প্রেসিডেন্টের অত্যন্ত শক্তিশালী এবং যুক্তিসঙ্গত মতামত থাকতে পারে। তবে শেষপর্যন্ত, ফেডের কাজ হলো স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং গভর্নর বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যে কোন স্তরে সুদের হার নির্ধারণ করা উচিত।"
হ্যাসেটের এই বক্তব্য বিশ্লেষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ মনে করছেন, প্রেসিডেন্টের মতামতকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিলে ফেডের স্বাধীনতার ওপর আস্থা দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং ফলে মুদ্রানীতির মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে পারে। অন্যদিকে, কিছু বিশ্লেষক মনে করেন—সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পারস্পরিক সমন্বয় বিশেষ করে সংকটকালীন পরিস্থিতিতে অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হতে পারে।
তবে যেকোনো অবস্থায়, সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের স্বাধীনতা বজায় রাখা একটি মূল স্তম্ভ, যা আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়ক।
বর্তমানে, ডলার কঠিন সময় পার করলেও বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি ফেডের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নিবদ্ধ রয়েছে। সুদের হারের ব্যাপারে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানের ইঙ্গিত মার্কিন ডলারের ওপর তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
আপনাদের মনে করিয়ে দিচ্ছি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার শীর্ষ উপদেষ্টারা চলতি বছরজুড়ে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের ওপর সুদের হার হ্রাসের জন্য চাপ সৃষ্টি করেছেন এবং একই সময়ে পাওয়েলের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য বিকল্প প্রার্থীদের বিবেচনায় নিচ্ছেন। উল্লেখ্য, ফেডের চেয়ারম্যান হিসেবে পাওয়েলের বর্তমান মেয়াদ আগামী বছরের মে মাসে শেষ হচ্ছে।
এই পদে কেভিন হ্যাসেটকে মূল প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যদিও গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাবেক ফেড গভর্নর কেভিন ওয়ার্শের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, "আমরা খুব শীঘ্রই ফেডের জন্য ভালো একজন চেয়ারম্যান নির্বাচন করব, যিনি সুদের হার কমাতে আগ্রহী।"
বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী ক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্য হবে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1770 লেভেলে নিয়ে যাওয়া। শুধুমাত্র মূল্য এই লেভেলে আসতে পারলেই 1.1790 লেভেলে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে যদি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে এই পেয়ারের মূল্য 1.1820 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, তবে বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া এটি করা বেশ কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1855-এর লেভেল। যদি মার্কেটে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যায়, তাহলে মূল্য 1.1735 লেভেলে থাকা অবস্থায় বড় ক্রেতারা সক্রিয় হতে পারে বলে আমি প্রত্যাশা করছি। যদি মূল্য এই লেভেলে থাকা অবস্থায় কেউ সক্রিয় না হয়, তাহলে আরও এই পেয়ারের মূল্য 1.1700 পর্যন্ত নেমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করাই শ্রেয়, অথবা 1.1685 থেকে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী ক্রেতাদের সর্বপ্রথম লক্ষ্যমাত্রা হলো এই পেয়ারের মূল্যের নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3395 ব্রেক করা। কেবল তখনই মূল্যের 1.3430-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে, যদিও এই লেভেল ব্রেকআউট করে ঊর্ধ্বমুখী হওয়া যথেষ্ট কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3474 লেভেল নির্ধারণ করা যেতে পারে। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে মূল্য 1.3355 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তাহলে মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে সেটি বুলিশ পজিশনের জন্য বড় ধাক্কা হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য দ্রত 1.3320 লেভেলে নেমে আসবে, এবং সেখান থেকে সম্ভাব্য পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3285 লেভেল।