empty
 
 
22.12.2025 06:16 AM
২২ ডিসেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ পরামর্শ ও বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা:

EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারটির মূল্য কার্যত স্থবির ছিল। সারাদিনজুড়ে মোট অস্থিরতার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ পিপস, ফলে কার্যত কোনো মুভমেন্টই ঘটেনি—এমন পরিস্থিতি নির্দেশ করে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গত সপ্তাহে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল এবং দুটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এখন যদি আপনি চার্টটি ভালভাবে দেখেন, তাহলে কি মনে হবে যে গত পাঁচ দিনের মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল? মূলত কেবলমাত্র বুধবার সন্ধ্যা ও বৃহস্পতিবার রাতেই EUR/USD পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে। ওই সময়ে এই পেয়ারের প্রায় ১০০ পিপস কমে যায়, এবং পুরো সপ্তাহে আর কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যায়নি। এই ১০০ পিপসের দরপতনও মূলত টেকনিক্যাল কারণে হয়েছে—বিশেষ করে রেঞ্জের উপরের সীমানা থেকে মূল্যের রিবাউন্ড হওয়ার ফলে। দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো 1.1400–1.1830-এর সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যেই এই পেয়ারের ট্রেডিং সীমাবদ্ধ রয়েছে, যা দুর্বল মুভমেন্টের মূল কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। শুক্রবার মার্কেটে কার্যত কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ছিল না, তাই বলা যায়, ট্রেডাররা কার্যত বেশ আগেভাগেই "উইকেন্ড" উদযাপন করতে শুরু করে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত কনজ্যুমার সেনটিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচকের ফলাফল পর্যন্ত মার্কেটে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। সার্বিকভাবে নিয়ে বলা যায়, দৈনিক টাইমফ্রেমে যে ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে ট্রেডিং করা হচ্ছে, সেটাই এখনও অব্যাহত রয়েছে—এবং সেটাই মার্কেটের বর্তমান পরিস্থিতির মূল কারণ।

EUR/USD 5M পেয়ারের চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি, যা আশ্চর্যজনক নয় কারণ সেদিন এই পেয়ারের মূল্যের সার্বিকভাবে মাত্র ৩৪ পিপসের মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। সারাদিন ধরে এই পেয়ারের মূল্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ লেভেল বা এরিয়াতে পৌঁছায়নি।

সোমবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। বিগত কয়েক দিনে দুটি স্বল্প-মেয়াদি ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে, এবং এই পেয়ারের মূল্য এই লাইনগুলো ব্রেকআউট করলে মূল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1800–1.1830 এরিয়াতে পৌঁছানোর আরেকটি প্রচেষ্টা দেখা যেতে পারে—যা দৈনিক টাইমফ্রেমে দৃশ্যমান ফ্ল্যাট রেঞ্জের উপরের সীমানা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সার্বিক মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী মার্কিন ডলারের জন্য এখনও নেতিবাচক পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাই আমরা এই পেয়ারের আরও মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। এই পেয়ারের মূল্য বর্তমানে 1.1400–1.1830-এর সাইডওয়েজ চ্যানেলের উপরের লাইনে পৌঁছেছে, তাই এখন মূল্য হয় এটি এই লেভেলটি ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হবে, নয়তো ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেই অবস্থান করবে।

সোমবার, নতুন ট্রেডাররা 1.1745–1.1754 এবং 1.1655–1.1666 এরিয়া থেকে ট্রেড করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। যেহেতু আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা নেই, তাই এই পেয়ারের মূল্যের খুব সীমিত মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করতে পারে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হলো: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527-1.1531, 1.1550, 1.1584-1.1591, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, এবং 1.1970-1.1988। সোমবার ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তাই মার্কেটে উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টে কী কী রয়েছে:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.